,

হবিগঞ্জে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনার সিএনজি চালক গ্রেফতার

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুরে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনার সিএনজি চালক জনি মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত শুক্রবার গভীররাতে সদর থানার ওসি মাসুক আলীর নির্দেশে তদন্ত ওসি দৌস মোহাম্মদসহ একদল পুলিশ সুবিদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সে চুনারুঘাট উপজেলার ঝিকুয়া গ্রামের রফিক মিয়ার পুত্র। গত সোমবার (১২ এপ্রিল) সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এর আগে চুনারুঘাট উপজেলার ঝিকুয়া গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া ও কাছম আলীর ছেলে সায়মন আহমেদ শামীমকে আটক করা হয়। পরে তারা আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এতে তারা জনির নাম বলে। এরপর থেকে সে আত্মগোপনে ছিল। হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি আরও জানান, রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট থেকে নতুন সেতু এলাকায় এসে নামেন ২৫ বছরের এক নারী। তিনি নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য অপো করছিলেন। এ সময় অটোচালকসহ দুই যুবক তাকে ফুসলিয়ে হবিগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের গতিবিধি বুঝতে পেরে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ সময় রাত ৮টা বাজে। অন্যদিকে ওই নারীকে অনুসরণ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। কলিমনগর এলাকায় পৌঁছালে তাকে বহনকারী অটোরিকশাটির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। এই সুযোগে ভুক্তভোগী ওই নারীকে কৌশলে নিজের গাড়িতে তোলেন সিএনজিচালিত অটোচালক জনি মিয়া। তার অটোতে আরও ছিলেন শামীম ও সুজন। এর পরে দ্রুত অটো চালিয়ে ধুলিয়াখাল-মিরপুর সড়কে ঢুকে লস্করপুর ইউনিয়ন অফিসের পাশে নির্জন বাগানে নিয়ে যান। সেখানে অটোরিকশায় ওই নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর গণধর্ষণ করে। এসময় তারা ভুক্তভোগী ওই নারীকে নিয়ে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে চরহামুয়া পয়েন্টে এলে দোকানপাট খোলা দেখে চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে এলাকাবাস ঘেরাও করে অটোসহ সুজন ও শামীম নামে দুই জনকে আটক করে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জনি তার দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর